সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার অনুসারে, তুতেনখামেনের বাবা আখেনাটন। তুতেনখামেনের মৃতুর পর তাকে যে সমাধিমন্দিরে সমাহিত করা হয় সেখানে আরও একটি সমাধি রয়েছে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। এ বিষয়টি নিয়ে এখনও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আর সেটি এখন উন্মোচনের অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে কী কারণে অত্যন্ত সম্মানিত একজন শাসককে এমন সমাধিমন্দিরে সমাহিত করা হলো, যেখানে আরও একজনের সমাধি রয়েছে? এ প্রসঙ্গে গবেষকরা বলছেন, তার মৃত্যু হঠাৎ করেই হয়েছিল। কেউ আশা করেনি এত অল্প বয়সে তার মৃত্যু হবে। আর এ কারণে তার মৃতদেহ সমাহিত করার জন্য কোনো প্রস্তুতিও ছিল না।
প্রায় ৩৩৩৬ বছর পর নতুন কিছু নিদর্শন বলছে হত্যা, কুষ্ঠ কিংবা সাপের কামড় নয়-তুতেনখামেন মারা গিয়েছিলেন দ্রুত ছুটে আসা কোন দুই চাকার গাড়ি বা বাহনের আঘাতে! আরো জানা গিয়েছে ১৩২৩ খ্রিস্টপূর্বে যখন তুতেনখামেন মারা যান তখন অত্যন্ত দ্রুততার সাথে তার মরদেহকে সুগন্ধীদ্রব্য দ্বারা সজ্জিত করা হয় ও সমাহিত করা হয়। যার ভুলের ফলে সম্ভবত তার মমিকৃত দেহটি নিজ থেকেই জ্বলে গিয়েছিল।
দুই চাকার বাহনের আঘাতের ফলে তুতেনখামেন মারা গিয়েছিলেন এই বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন ডক্টর ক্রিস নওনটন। তিনি ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ । ক্রিস বলেন, “তুতেনখামেন যে কোন একটি দ্রুতগতির বাহনের সাথে ধাক্কা খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। আর এই আঘাতের ফলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন যার ফলে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন। আর খুব সম্ভবত তার দেহ এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে তার শেষকৃত্য সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিতদের বেশ সমস্যাতেই পড়তে হয়েছিল।”
তুতেনখামেনের সময় প্রাচীন মিশর বেশ সমৃদ্ধ অবস্থায় ছিল। হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে শাসন করছিল ফারাওরা। আর এ সময়ই আবিষ্কৃত হয় নুবিয়া স্বর্ণখনি। এছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় এলাকাতেও বিস্তৃত হয়েছিল শাসন।
তুতেনখামেনের কোনো ছেলে বা উত্তরাধিকারী ছিল না। ফলে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্য কে শাসন করবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ব্যাপক আলোড়ন ফেলে প্রাচীন মিসরে। আর কোনো উত্তরাধিকার না থাকার কারণে রাজ্যের শাসনভার চলে যায় সেনাপতি হোমেরহেবের হাতে।
ভিডিওঃ ভারতীয় সবচেয়ে সুন্দর বিকিনি সুন্দরী, ভিডিওতে দেখুন
Add Comment